হাবিপ্রবির নূর হোসেন হলে রিডিংরুম স্থাপনের দাবি শিক্ষার্থীদের

হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শহীদ নূর হোসেন হলে পড়াশোনার জন্য কোন রিডিংরুম না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলে রিডিংরুম চালু থাকলেও এই হলে এখনো এমন কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পড়াশোনার উপযুক্ত পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হলটিতে থাকা প্রায় ৩০০ জন আবাসিক শিক্ষার্থী।

জানা যায়, হাবিপ্রবিতে ছাত্রদের জন্য হল আছে চারটি। এরমধ্যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হল, বিজয়-২৪ হল এবং শহীদ আবরার ফাহাদ হলে রিডিং রুম থাকলেও নূর হোসেন হলে দীর্ঘদিন থেকেই নেই কোন রিডিংরুম। হলে একটি রিডিংরুমের জন্য বারবার শিক্ষার্থীরা দাবি করলেও তাদের এ দাবি পূরণ হয়নি। পর্যাপ্ত সীটের অভাবে হলের বেশ কয়েকটি কক্ষে জুনিয়র শিক্ষার্থীরা তিন জনের সীটে চারজন করে থাকছেন। এ অবস্থায় অনেকসময়ই পড়াশোনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়া যায়না বলে জানান তাঁরা। ফলে বাধ্য হয়ে রাতে টিএসসিতে পড়তে হতো তাদের। তবে এখন রাত ১১ টার পর টিএসসি বন্ধ থাকার কারণে সেই সুযোগ না থাকায় ভোগান্তিতে পরেছেন অনেক শিক্ষার্থীই।

রিডিং রুম না থাকার বিষয়ে একজন শিক্ষার্থী বলেন, হলে অনেককিছুই সংস্কার হচ্ছে যা আমাদের জন্য ইতিবাচক। তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে লেস ইম্পরট্যান্ট কাজগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। অথচ যা শিক্ষার্থীদের জন্য অতীব জরুরি, তা থেকেই আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। যাবতীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নের বাজেট আসার পরও প্রশাসন রিডিং রুম স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে না এই বিষয়টা হতাশাজনক। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের হলে রঙ করতেছে, পুরাতন জিনিস ঠিক করে দিচ্ছে যা অবশ্যই ভালো কাজ। কিন্তু আমাদের হলে একটা রিডিং রুম খুব জরুরি। আগে রাতে TSC তে পড়া যেতো এখন আর সেই অপশনটা নেই। একটা রিডিং রুম স্থাপন বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার।

এ বিষয়ে শহীদ নূর হোসেন হলের হলসুপার অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান হাফিজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হলের বিল্ডিংগুলো অনেক পুরোনো হওয়ায় পানির লাইনসহ ওয়াশরুমগুলো সংস্কার করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট করে রিডিং রুম বানানোর জায়গা না থাকায় ক্যান্টিনের স্পেসকে রিডিং রুম করার পরিকল্পনা রয়েছে। শীঘ্রই শিক্ষার্থীদের জন্য রিডিং রুমের ব্যবস্থা করা হবে।

এ ছাড়া কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, বহুবার হল প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হলেও হবে হবে বলে আশ্বাস দেয়া ছাড়া আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *