হাওর উন্নয়নসহ ২২ প্রকল্পে সিটি ব্যাংকের অর্থায়ন: বাকৃবিতে কর্মশালা

বাকৃবি বিশেষ সংবাদদাতা:

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইন হায়ার এডুকেশন’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) এর আয়োজনে এবং সিটি ব্যাংক পিএলসি এর অর্থায়নে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: জি. এম. মুজিবর রহমান। এছাড়াও কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আমন্ত্রিত অতিথি ও সংশ্লিষ্ট গবেষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাউরেসের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো: সামছুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাভিদুল হক ভূঞার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাউরেসের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন,”একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান তাদের কর্পোরেট দায়িত্বশীলতার অংশ হিসেবে বাউরেসের ২২ প্রকল্পে চলমান সমস্যাগুলো অথবা হাওর অঞ্চল উন্নয়নের জন্য অত্যাবশ্যকীয় বিষয়গুলো গ্রহণ করে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে অর্থায়ন করেছে যা সত্যিই প্রশংসনীয়।”

তিনি সিটি ব্যাংকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন,”এদেশে অনেক বড় বড় কর্পোরেট কোম্পানি আছে যারা সারাদেশে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য করছে কিন্তু সমাজ এবং দেশের প্রতি আর্থসামাজিক দায়বদ্ধতা নেই অথচ দায়বদ্ধতা থাকা উচিৎ। এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা নেয়ার আহবান জানান তিনি।”

উপাচার্য বাউরেসের ২২টি প্রকল্পে আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং খাদ্য-পুষ্টিসংশ্লিষ্ট কৃষি উৎপাদনশীলতা নিয়ে যে ২২জন কৃষি গবেষক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। একই সাথে তাদের এই কর্মপরিকল্পনা যেন অন্যদেরকে অনুপ্রাণিত করে সেজন্যে এসব বিষয় যথাযথভাবে প্রচারের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।

তিনি এধরণের প্রকল্পে প্রয়োজনে সময় ও আর্থিক সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধের পরামর্শ দেন এবং বলেন,”আমাদের জীবদ্দশায় যতটুকু সম্ভব ভবিষ্যতের জন্য ভালো কিছু করে যাওয়ার আহবান জানান যেন পরবর্তী প্রজন্ম আমাদেরকে মনে রাখে। জাতীয় স্বার্থে এবং ধর্মীয় অনুশাসনের কারণেও আমাদেরকে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।”

ভবিষ্যতে শিক্ষা-গবেষণায় অধিকমাত্রায় যোগ্যতাসম্পন্ন স্বনামধন্য বিদেশি শিক্ষক-গবেষকদেরকে রিসোর্স পারসন হিসেবে এধরণের কর্মশালায় অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন উপাচার্য। তিনি একইসাথে উক্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সকলকে শতভাগ একাগ্রতার সাথে কর্মশালাটি সম্পন্নের নির্দেশনা প্রদান করেন যেন কর্মশালাটি সাফল্যমন্ডিত ও অর্থবহ হয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *