বাকৃবিতে জুলাই-৩৬ হলে আয়োজিত হয়েছে ‘অনুরণন-জুলাই ৩৬’

বাকৃবি প্রতিনিধি 

জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) জুলাই ৩৬ হলে আয়োজিত হয়েছে ‘অনুরণন-জুলাই ৩৬’।

শুক্রবার (১লা আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় হলের প্রবেশদ্বারে জুলাই গনঅভ্যুত্থানের স্মরণে নির্মিত হলের নতুন ফলক  উন্মোচন করেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূইয়া। পরবর্তীতে সাড়ে ৭টায় জুলাই ৩৬ হল প্রশাসনের আয়োজনে হলের কমনরুমে অনুষ্ঠানের মূল আয়োজন শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে জুলাই ৩৬ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. তাহসিন ফারজানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূইয়া।  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন এবং বাকৃবি সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন ও বাকৃবি সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো বাহানুর রহমান, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার। এছাড়াও সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন অনুষদের অন্যান্য শিক্ষক, হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরাসহ হলের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হলের হাউজ টিউটর ড. জান্নাতুল ফেরদৌস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, জুলাইয়ের চেতনাকে আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে। এই জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যারা আমাদেরকে লাল চক্ষু দেখিয়েছে, তারা যত বড় ক্ষমতাশালী হোক না কেন; আমাদের গায়ে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত এই বাংলার বুকে, বাকৃবির বুকে, কোনদিন তারা ফেরত আসতে পারবে না। প্রতিবছরই এই জুলাইয়ের এই অনুষ্ঠান হবে এবং সবাই জুলাইয়ের শহীদদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করবে।

এছাড়াও তিনি বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তরুণ প্রজন্ম মানে হলো তারা কোন অন্যায়কে মেনে নেবে না, কারোর চোখ রাঙানোকে ভয় পাবে না, তারা সবসময় সত্যের পেছনে থাকবে এবং সেটিই ঘটেছে আমাদের জুলাই আগস্টের আন্দোলনে। যারা জুলাইয়ের আন্দোলন অংশগ্রহণ করতে পেরেছে তারা অনেক গর্বিত কিন্তু যারা পারেনি তাদের সারা জীবন এই অংশগ্রহণ না করার দুঃখ বয়ে বেড়াতে হবে। জুলাই ৩৬, এমন ঐতিহাসিক একটি নাম যেটি এসেছে তরুণদের মাথা থেকে। তরুণদের অবারিত সুযোগ সামনে আছে। তাদের ক্ষেত্র শুধু বাকৃবিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না, সারা পৃথিবী হবে তাদের চর্চার ক্ষেত্র।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *