বাকৃবির শাহজালাল হলে নবীনবরণ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

বাকৃবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শাহজালাল হলের নবাগত ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের (লেভেল ১-সেমিস্টার ১) শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শাহজালাল হলের কমনরুমে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল ও উপহার দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে মেধা তালিকায় শীর্ষে থাকা হলের বিভিন্ন বর্ষের ১১ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠান শাহজালাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদিউজ্জামান খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫ এর সদস্য (খন্ডকালীন) অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম ভূঁঞা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, বাকৃবির শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার, এগ্রোমেটেওরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসান, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান টিটু, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ অধ্যাপক ড. জি. এইচ. এম. সাগর। এছাড়াও হলের হাউস টিউটরবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সিনিয়র শিক্ষার্থী, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, এবং নবাগত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, ‘নবাগত শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছে। বাকৃবিতে এক ঝাঁক দক্ষ শিক্ষকমন্ডলী রয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের থেকে স্বচ্ছ শিক্ষা গ্রহণ করে মানে ওয়ার্ল্ড ক্লাস হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুন্দরভাবে পড়ালেখা করতে দরকার সুন্দর একটা সার্কেল, সুন্দর পরিবেশ। শাহজালাল হলের পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম, পড়ালেখার জন্য যেমন সুযোগ রয়েছে তেমনি হলে শরীর সুস্থ রাখতে জিমের ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের বলবো শিক্ষা, নীতি নৈতিকতা, মানবিকতা দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদিউজ্জামান খান বলেন, ‘হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে যারা বিভিন্ন অনুষদের টপ ৫ শতাংশ মেধা তালিকায় আছে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এটা করার উদ্দেশ্য নবাগত শিক্ষার্থীদেরকে উৎসাহ প্রদান করা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতেই যেন তারা পড়ালেখায় মনোযোগী হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘হলে কোনো গণরুম থাকবে না। সাময়িক সময়ের জন্য নবাগত শিক্ষার্থীদেরকে গণরুমে থাকতে হচ্ছে। আগামী ১ মাসের মধ্যে আবাসন সমস্যা সমাধান করা হবে। যাতে সবাই লেখাপড়া করার সুন্দর পরিবেশ পায় এবং ভালো ফলাফল করতে পারে। শিক্ষার্থীদের যেকোন সমস্যায় আমার দরজা সবসময় উন্মুক্ত।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *