বাকৃবি বিশেষ সংবাদদাতা:
উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক সুযোগ সম্প্রসারণ এবং জাপানের সঙ্গে একাডেমিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে ‘জাপান সোসাইটি ফর দ্য প্রমোশন অব সায়েন্স’ (জেএসপিএস) প্রোগ্রাম সম্পর্কে শিক্ষক ও গবেষকদের মাঝে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক দিকনির্দেশনামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১১:০০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন ভবনে এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ছাত্র-বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক এবং উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন BJSPSAA-এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. নওশাদ আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন হাওলাদার। এছাড়াও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারের স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক ও ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইন্সটিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুব আলম।
জেএসপিএস-এর পরিচালক ও থাইল্যান্ড আঞ্চলিক অফিস প্রধান অধ্যাপক হোতানি সেন সে’র ধারণকৃত ভিডিও বক্তব্য অনুষ্ঠানে প্রচার করা হয়।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল কাদের। তিনি জেএসপিএস প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগসমূহ তুলে ধরেন এবং জানান যে, ২০২৩ সালে ৬২ জন গবেষক এই প্রোগ্রামের আওতায় জাপানে গমন করেন।
বক্তব্য শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক ও গবেষকদের মাঝে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের শেষ অংশে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন BJSPSAA-এর জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মীর্জা হাসানুজ্জামান।
সমাপনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান জেএসপিএস প্রোগ্রাম অব্যাহত রাখার জন্য জাপান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,”জাপানে অবস্থানকালীন সময়ের অভিজ্ঞতা আমার স্মৃতিতে আজও জ্বলজ্বলে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষকগণ উচ্চশিক্ষায় বিশেষ সুযোগ পাবেন, এবং আন্তর্জাতিক গবেষণার মানও বৃদ্ধি পাবে।”