বিএইটিই স্বীকৃতির আলোকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির মানোন্নয়নে বাকৃবিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বাকৃবি প্রতিনিধি 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দেশের প্রকৌশলীদের আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে ‘বিএইটিই এর দৃষ্টিকোণে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির জন্য স্বীকৃতির নীতি’ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজিত হয়েছে। 

রবিবার (০৪ মে) বিকেল তিনটায় বাকৃবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। 

কর্মশালায় ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক।

কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ ইকবাল। তিনি বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন (বিএইটিই) এর পরিচয়, প্রাথমিক ধারণা এবং এ স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, বিএইটিই একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান যা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষার স্বীকৃতি নিয়ে কাজ করে। এটি একজন শিক্ষার্থীকে প্রকৌশল শিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রয়োজনীয় মানদণ্ড, নীতি নির্ধারণ, প্রকৌশল শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইউয়া বলেন, আজকের কর্মশালা বাকৃবির প্রকৌশলীদের গুনগত মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রাঙ্গণকে তাদের জন্য উন্মুক্ত করবে এবং তাদেরকেও উপযুক্ত করে গড়ে তুলবে। এতে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে এবং প্রকৌশল গবেষণায় তারা আরো বেশি অবদান রাখতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই কার্যক্রমে সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিশ্চিত করছে। পাশাপাশি আজকের কর্মশালার সর্বোচ্চ সফলতা অর্জনে সংশ্লিষ্ট সকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আমি আশাবাদী। 

এসময় আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান সরকার বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদান করা বিভিন্ন কোর্স বা গবেষণার বিভিন্ন দিকনির্দেশনা শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করতে পেরেছে কিনা তা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। পাশাপাশি সেগুলো আন্তর্জাতিক মানদন্ডসম্পন্ন কিনা সে বিষয়টিও যাচাই করে দেখতে হবে। এতে আমরা শিক্ষা ও গবেষণা উভয় দিকেই অনেক দূর এগিয়ে যাবো বলে আশা করছি।

কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের সাথে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় যেখানে সকলের মন্তব্য নেওয়া হয়। এছাড়াও  একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব আয়োজন করা হয়। 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *