হাবিপ্রবিতে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ 

হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে খ্যাত উত্তরবঙ্গের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বৈষম্য নিরসন এবং তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় কমিটির(প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন) সাথে সহমত পোষণ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতি সংহতি জানিয়ে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

বিক্ষোভ সমাবেশটি দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান ফটক থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ  মিছিলটি দশতলা ভবনের সামনে দিয়ে প্রশাসনিক ভবনের দিকে অগ্রসর হয়। এরপর ডিভিএম গেট অতিক্রম করে মিছিলটি টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন,

“তুমি কে আমি কে, প্রকৌশলী প্রকৌশলী”

“এক দুই তিন চার, চাকরি কি তোর বাপ দাদার “

“চাকরি-বাকরি পরে কর, ইঞ্জিনিয়ার বানান কর “

বিক্ষোভ সমাবেশে বোরহান আহমেদ ( মেক্যানিকাল-২০) নামের এক শিক্ষার্থী বলেন,বাংলাদেশের প্রকৌশল খাত আজ গুরুতর সংকটের মুখে। মেধাবী ও যোগ্য স্নাতক প্রকৌশলীরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অথচ ডিপ্লোমাধারী প্রকৌশলীরা আন্দোলন, বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে প্রশাসনকে চাপে ফেলে নানা সুবিধা আদায় করছে।সাম্প্রতিক সময়েও ডিপ্লোমাধারীরা অনলাইনে কটূক্তি, হুমকি ও সন্ত্রাসী কর্মসূচি চালাচ্ছে, যা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।অতএব, প্রকৌশল খাতের সুষ্ঠু উন্নয়নের জন্য মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও পদোন্নতি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।

আরেক শিক্ষার্থী বণিক বসাক (সিভিল-২১) বলেন,আজকের এই বিক্ষোভ সমাবেশের সাথে আমরা একাত্মতা পোষণ করছি। যারা কোটার পক্ষে তাদের আমি কিছু প্রশ্ন করতে চাই, তারা অবশ্যই কোটার উৎপত্তি সম্পর্কে জানবেন, কোটা কাদের জন্য যারা পিছিয়ে পড়া জাতি, যারা অবহেলিত, যারা কিছুই পারেনা, যাদের ধৈর্য নেই শক্তি নেই, কোটা তাদের জন্য। আমরা চাই সবাই একই সাথে একই পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমান দেই।

অন্য আরেক শিক্ষার্থী আখতারুজ্জামান স্মরণ (ইইই-২২)বলেন, আমরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জন দিয়েই কেন্দ্রীয় কমিটির(সাথে সহমত পোষণ করছি। আমাদের দাবি আদায় হওয়া না পররযন্ত আমাদের সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।আমারা হাবিপ্রবিয়ান বলতে চাই যে,আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচি পালন করব।আমরা চাই আমাদের ৩ দফা দাবি দ্রুতই মেনে নেওয়া হোক।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, তাদের দাবি পূরণ না হলে তারা ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবির দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।তাদের দাবি মেনে না নিলে আগামী দিনে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *