বাকৃবিতে পাঁচ বছর পর ফিরে এলো মৎস্য শিকারের উচ্ছ্বাস

বাকৃবি বিশেষ সংবাদদাতা:

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দীর্ঘদিন পর আবারও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো দুই দিনব্যাপী মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা। ২০১৯ সালের পর এটাই প্রথমবারের মতো আয়োজনটি নতুনভাবে ফিরে এল।

শুক্রবার (৪ জুলাই ২০২৫) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈশা খাঁ হল সংলগ্ন লেকের (পুকুর নং-৩) পাড়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের অধীন মৎস্য খামারের তত্ত্বাবধানে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক।

মৎস্য খামারের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার মোহাম্মদ আবু তাহেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য খামার ইন-চার্জ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল আলীমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং সৌখিন মৎস্য শিকারীবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “অনেক দিন পর এমন আনন্দঘন পরিবেশে সুন্দরভাবে মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হওয়ায় আমি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”

ভবিষ্যতে প্রতিটি মৎস্য শিকারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে অন্তত একটি করে ক্যাপ (টুপি) প্রদানের নির্দেশনা দেন তিনি। এছাড়া এ ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতে আরও সুন্দর ও সফলভাবে সম্পন্ন হবে বলেও উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ময়মনসিংহ শহরের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “অনেক বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়েছে। লেকের শান্ত পরিবেশে মাছ শিকার করার মজাই আলাদা। তাছাড়া এবারের আয়োজন খুবই চমৎকার ছিল। আয়োজকদের ব্যবস্থাপনার কোনো কমতি ছিল না।”

আয়োজনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, ‘ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এখানে এসেছে। তাছাড়া শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থীও রয়েছে। লটারির মাধ্যমে স্থান নির্ধারণের পর সেরা তিনজন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। প্রথম পুরস্কার হিসেবে প্রায় নয় কেজির মাছ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে যথাক্রমে প্রায় আট ও সাত কেজির মাছ দেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতায় মোট ৪২ জন সৌখিন মৎস্য শিকারী অংশগ্রহণ করেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *