বাকৃবিতে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল

বাকৃবি প্রতিনিধি: 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাকৃবি শাখার উদ্যোগে শুক্রবার (৩০ মে) বিকাল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিনি সম্মেলন কক্ষে ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হেলাল উদ্দিন, হাওর ও চড় উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ, ঈশা খাঁ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিয়াউল হক, শাহজালাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদিউজ্জামান খান। বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য-সচিব মো. শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম শোয়াইব, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। 

আলোচনায় বক্তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান, দেশপ্রেম, নেতৃত্বগুণ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অসামান্য ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। তারা বলেন, “জিয়াউর রহমান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশের প্রথম ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষক, যিনি দেশকে একটি স্বনির্ভর ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন।”

অনুষ্ঠানে বাকৃবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের উড়ে আসা কোন ব্যক্তি নন। যখন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ কলকাতায় থেকে আরাম আয়েশে জীবনযাপন করছে সেদিন আমার নেতা জিয়াউর রহমান ৩৬ বছর বয়সে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। আপনারা বলেন ১৬ বছর কোথায় ছিলাম? ১৯৭৫ সালে এদেশে সার্বভৌমত্ব যখন বিপন্ন, সাতই নভেম্বর জিয়াউর রহমান তখন এদেশকে উদ্ধার করেছিলেনঢ় জনগণ জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন। বেগম জিয়া ১৯৯১ সালে ছাত্রদলের নেতৃত্বে হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের ৯ বছরের স্বৈরাচারকে হটিয়ে এই দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৬ বছর বিএনপি, ছাত্রদল ছিল বিধায় আপনারা আজ বিভিন্ন পার্টি করতে পারছেন। আপনারা ৭১ কে ভুলে যেতে চান। একাত্তরের সেদিন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিল বলে আজকের এই বাংলাদেশ। একাত্তর কে বিসর্জন দিয়ে ২৪ এর আগস্ট হতে পারে না। “

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *