রংপুর প্রতিনিধি:
তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল এখন একটি সেবায়ত প্রতিষ্ঠান, যেখানে খামারি ও সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে এসে তাদের পশুপাখির উন্নত চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছে। সরকারি নীতিমালার আলোকে জনকল্যাণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তার কে. এম. ইফতেখারুল ইসলাম, যিনি তার সৎ ও দক্ষ নেতৃত্বে প্রাণীসম্পদ ক্ষেত্রের উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন।
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে ডাক্তার কে. এম. ইফতেখারুল ইসলামের যোগদানের পর থেকে তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ হাসপাতালের চিত্র একেবারে বদলে গেছে। এখন তা প্রাণ ফিরে পেয়েছে এবং চিকিৎসা সেবার মান অনেকগুণ বেড়েছে।
গতব ছর (২০২৪) ৩রা সেপ্টেম্বর দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে ডাক্তার ইফতেখারুল দক্ষতার সাথে হাসপাতালের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে গ্যারেজ নির্মাণ, অফিস রুমের বিভিন্ন ধরনের সংস্কার এবং ভবন রং সহ নানা সংস্কার করেছেন। চিকিৎসা সেবায় স্বচ্ছতা, গতিশীলতা ও জবাবদিহিতাও বেড়েছে। প্রশাসনিক কাঠামো কঠোর ও মজবুত করার পাশাপাশি দীর্ঘদিনের দুর্নীতি ও অনিয়মের বেড়াজাল ভেঙে দিয়ে তিনি এটিকে রংপুর জেলার একটি মডেল প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তুলছেন।
উপজেলার গরু, ছাগল, মহিষ, হাঁস-মুরগি থেকে শুরু করে বিভিন্ন গৃহপালিত পশুপাখির চিকিৎসায় সক্রিয় থাকেন ডাক্তার ইফতেখারুল। তিনি খামারি ও সাধারণ মানুষের সাথে সদয় ও আন্তরিকতার সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে জনবান্ধব ভেটেরিনারি চিকিৎসক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। নিয়মিত খামার পরিদর্শনের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও উন্নত জাতের পশু পালনে উৎসাহিত করছেন।
অফিস সময়ে তার দপ্তরের সেবার দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত। নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে তিনি জনগণকে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত ও উদ্বুদ্ধ করছেন। তার নেতৃত্বে হাসাপাতাল ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় খামরীরা জানান, ডাক্তার ইফতেখারুলের আন্তরিক নেতৃত্বে খামারি ও সাধারণ মানুষ সানন্দে বিভিন্ন সেবা গ্রহন করেন, পালনে পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা সহজ ও দ্রুত পেয়ে থাকেন। এটি এলাকার জন্য আশার বার্তা বহন করে।
ডাক্তার কে. এম. ইফতেখারুল ইসলাম নিজেও বলেন, “স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রামীণ খামারিদের উন্নয়ন ও সেবা নিশ্চিত করাই আমার মূল লক্ষ্য। জনগণ ও খামারিদের সহযোগিতা থাকলে অনেক কাজ সম্ভব। আমাদের দপ্তরে জনবল ঘাটতি থাকায় অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়, আশা করছি শীঘ্রই শূন্য পদ পূরণ হলে সেবা আরো দ্রুততর হবে।”