জীবনের মায়া করলে কেউ কখনো নিজের মনের কথা বলতে পারে না- বাকৃবি উপাচার্য 

বাকৃবি প্রতিনিধি 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “গত বছর ১৬ জুলাই প্রথমবারের মতো যখন শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করি তখন অনেকেই বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দিয়েছে। তখন তাদের আমি বলেছিলাম, জীবনের মায়া করলে কেউ কখনো নিজের মনের কথা বলতে পারে না।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় আয়োজিত বিতর্ক ফাইনাল, জুলাই আন্দোলনের উপরে নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও ভিডিও প্রদর্শনী প্রতিযোগিতা এবং দিনব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “আজকের দিনের মাহাত্ম্য, তাৎপর্য ও সৃষ্টি, সেই বিষয়টি আমাদের শিক্ষিত মানুষ হিসেবে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে, গভীরভাবে এগুলো আমাদের মননে ধরে রাখতে হবে। আমাদের দেশের ছাত্র, জনতা  শিক্ষক, রিক্সাওয়ালা, প্রতিটি মানুষই জুলাই আন্দোলনে বিভিন্নভাবে ভূমিকা রেখেছেন। আমরা যেভাবে একতাবদ্ধ ছিলাম, সেটার মাধ্যমেই এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটেছে।

আমাদের সবার জীবন মৃত্যুর ভয়কে উপেক্ষা করার ফলেই এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। অত্যাচারী ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী যেন আর কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেটার জন্য বদ্ধপরিকর এবং দৃঢ় সংকল্পই হচ্ছে আমাদের আজকের দিনের মূলমন্ত্র।”

অনুষ্ঠানে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি এবং বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হেলাল উদ্দীন, ট্রেজারার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির, প্রক্টর ড. মো. আব্দুল আলীম, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যবৃন্দ, বাকৃবির ছাত্র নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ,  ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের অভিভাবকবৃন্দ।

এসময় ডিবেটিং সংঘের আয়োজনে ‘জুলাই পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে আর কখনো ফ্যাসিজম ফিরে আসতে পারবে না’ বিষয়ের উপর বিতর্ক প্রতিযোগিতা হয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষে জুলাই আন্দোলনের উপরে নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও ভিডিও প্রদর্শনী আয়োজিত হয়। ডকুমেন্টারি  প্রদর্শনী শেষে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।  এতে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ৫ টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের মোট ১৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও দেয়ালিকায় তাপসী রাবেয়া হলের দুইজন পুরস্কার প্রাপ্ত হন এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকলকেই সম্মাননা দেওয়া হয়।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *