জুলাই-আগস্টের শহিদদের স্মরণে বাকৃবিতে ছাত্রদলের  স্মরণসভা

বাকৃবি প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে সকল শহিদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বাকৃবি শাখার আয়োজনে ওই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। 

বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য-সচিব মো. শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির, সোনালি দলের সাধারণ সম্পাদক ড. আহমেদ খায়রুল হাসান, শাহজালাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদিউজ্জামান খান, হাওড় ও চড় উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো আনিছুর রহমান মজুমদারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে ড. আহমেদ খায়রুল হাসান বলেন, ‘দেশের সকল ক্রান্তি লগ্নে আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। গত ১৬/১৭ বছর ময়মনসিংহে শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে ঢাকার অধিকাংশ প্রোগ্রামের থেকেছি। কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে একপর্যায়ে ফ্যাসিস্ট উৎখাতের অভ্যুত্থানে পরিণত হয়েছে। এখানে শেখার অনেক কিছু আছে মূলে হলো দেশপ্রেম। যারা শহীদ হয়েছে তারা শিক্ষা দিয়েছেন তারা ভয় পায়নি, সত্যের পথে ছিল, নিজের ব্যক্তি লাভের জন্যে প্রাণ বিসর্জন দেয়নি সমষ্টিক লাভের আশায় আন্দোলন নেমেছিলো।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘হলে হলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ব্যক্তিত্বের গুণে, সুনাম দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে না পারো তাহলে আদর্শগত জায়গা থেকে সামনে এগোতে পারবে না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কে বলবো নতুন প্রজন্মের অনেকে সঠিক ইতিহাস জানে না, সংগ্রামের ইতিহাস জানে না। সাধারণ ছাত্রদের পাশে থাকতে হবে তাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে সব সময় সামনের সারিতে দেখতে চাই ছাত্রদলকে। আদর্শের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’

বাকৃবির কোষাধ্যক্ষ (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির বলেন, ‘ কোয়ালিটি থেকে কোয়ান্টিটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্রদলের আদর্শ সামনে দিকে এগিয়ে নিতে লোকবলের খুব প্রয়োজন। এক্ষেত্রে দলের নেতৃবৃন্দের চরিত্র, জ্ঞান, বুদ্ধি, ব্যবহার দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হতে হবে। হওয়ার জন্যে যে সহযোগিতা লাগবে আমাদের পাশে পাবে।’

‘এসিতে বসে ছাত্রদলের প্রোগ্রাম আমার খুব অপছন্দের। ছাত্রদলের প্রোগ্রাম হবে মাঠে ময়দানে। আমাকে নিয়ে যাবে আমি ঘেমে যাবো অসুবিধা নেই কিন্তু এসি রুমে বসে প্রোগ্রাম আমি আসতে রাজি হবো না। মাঠে দেখাইতে হবে, চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *